২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আগামী ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার (৩১ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন-২০১২ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপাচাপিতে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার তা বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা রাজস্ব আদায় বাড়াতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো দেশের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। অথচ আমাদের মাত্র ১০ শতাংশ। এজন্যই সবাইকেই ভ্যাট দিতে হবে। তাহলে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। এতে ভ্যাটের স্তর হবে তিনটি। যাকে বহুস্তর ভ্যাট ব্যবস্থা বলা হয়। এতে ব্যবসায়ীরাও সম্মতি দিয়েছেন। আইনে ভ্যাটের স্তরগুলো হবে ৫, সাড়ে ৭ এবং ১০ শতাংশ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে কথা বলা, গ্যাস এবং সিগারেট- এসব পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল থাকবে। এজন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি থাকবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কাউকে কষ্ট দিয়ে ভ্যাট কিংবা রাজস্ব আদায় করা হবে না। কোনো ব্যবসায়ীকে ভ্যাটের জন্য হয়রানি করা হবে না। কেননা বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার।
বৈঠক সূত্র জানায়, বর্তমানে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে ভ্যাটমুক্ত রয়েছে। আগামী বাজেটে এটা বেড়ে ৫০ লাখ টাকা হবে। ৮০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার হবে ৪ শতাংশ, যা আগামী বাজেটে কার্যকর করা হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।