ঝিনাইদহের এক নারী পুলিশের প্রেমে পড়লেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। আসাদুল (৪২) নামে ওই আসামিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন থানার এক নারী কনস্টেবল।
বৃহস্পতিবার ওই নারী কনস্টেবলের সঙ্গে দেখা করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান আসাদুল। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আল মেহেদি বলেন, নারী কনস্টেবলকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসাদুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি তারেক আল মেহেদি বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে হরিণাকুন্ডু উপজেলার মানদিয়া সরকারি ক্যানেলের পাশে তোয়াজ উদ্দিন মন্ডল (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ মামলায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া গ্রামের মৃত এলেম মন্ডলের ছেলে আসাদুলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামি গা ঢাকা দিয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালানো হলেও গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। তাই আমি ভিন্ন উপায়ে তাকে গ্রেফতার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। প্রথমে আসামি আসাদুলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর এক নারী কনস্টেবল নিজের পরিচয় লুকিয়ে কলেজছাত্রী পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। একপর্যায়ে সাজানো এই প্রেমের ফাঁদে ধরা দেয় আসাদুল।
বৃহস্পতিবার ওই নারী কনস্টেবলের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে উপজেলার ভাইট বাজারে আসলে আসাদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলার অন্যান্য আসামিকে আরও আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান এএসপি তারেক আল মেহেদি।