ক্রাইস্টচার্চে থাকা ওমর ফারুকের অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে নিখোঁজ থাকা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ওমর ফারুক (৩৫) মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে থাকা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ওমর ফারুকের পরিবার এ খবর পেলেও এখনও সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি।

নিউজিল্যান্ডে থাকা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসী এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে তুলে ধরা ৪ বাংলাদেশির মৃত্যুর তালিকায় ওমর ফারুকের নাম রয়েছে।

ওমর ফারুকের ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তারা নিউজিল্যান্ডে ওমর ফারুকের সঙ্গে থাকা রুমমেট ও অন্যদের কাছ থেকে মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।

পরিবারের দাবি, যে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে নিয়মিত ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতেন ফারুক। কিন্তু শুক্রবার হামলার পর থেকেই ওমর ফারুকের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

ওমর ফারুক বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার মৃত আ. রহমানের ছেলে। তিনি নিউজিল্যান্ডে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওমর ফারুকের পাসপোর্ট নম্বর হলো বিসি-০১৪৪৪১০।

নিখোঁজ ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা জামান নিহা জানান, ফারুকের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি নিউজিল্যান্ড চলে যান। পরে গত বছরের ১৬ নভেম্বর ছুটিতে দেশে আসেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ফের নিউজিল্যান্ড চলে যান। নিহা বর্তমানে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এক ভাই ও তিনবোনের মধ্যে ওমর ফারুক দ্বিতীয়।

সানজিদা জামান নিহা আরও জানান, ওমর ফারুকের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫১ মিনিটে (নিউজিল্যান্ড সময় শুক্রবার সকাল ৮টায়)। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ। তবে ওমর ফারুক বেঁচে আছেন না মারা গছেন সেটা সঠিকভাবে জানতে পারছেন না।

ওমর ফারুকের ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন জানান, এ হামলার কথা তার মাকে জানানো হয়নি। বাড়ির লোকজন সকলে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।

বন্দর থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলার সময় ওই মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন ওমর ফারুক। তার মৃত্যুর খবরটি সঠিকভাবে অবগত না।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ বলেন, ওমর ফারুক আমার আত্মীয়। তার নিখোঁজের সংবাদে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওমর ফারুকের মৃত্যু হয়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যাচ্ছে না।

Scroll to Top