বউ পেটানোর অভিযোগে বহুল আলোচিত হিরো আলমকে পিটিয়েছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় হিরো আলম তার শ্বশুরসহ পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে হিরো আলমের মারধরে আহত স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমিকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হিরো আলমের বিরুদ্ধে বউ পেটানোর অভিযোগ এনে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম।
হিরো আলমের পরকীয়া এবং দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে স্ত্রীর সাথে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে হিরো আলমকে পেটানো হয় বলে তিনি বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহের জের নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমির নেতৃত্বে হিরো আলমের বাড়িতে এসে চড়াও হয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে তাকে পেটানো হয়। পরে হিরো আলম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্ত্রী-শ্বশুরসহ পাঁচ জনের নামে মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি বলেন, ‘দুই মাস পর গত সোমবার রাতে হিরো আলম বগুড়া শহরতলীর এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসেন।’
রাতে বিছানায় শুয়ে একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ঢাকার এক নারীর সাথে কথা বলে হিরো আলম। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতেই স্ত্রীকে বেদম পেটান বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।
তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, হিরো আলম ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। একারণে বগুড়ায় থাকা স্ত্রী-সন্তানের কোন খবর রাখেন না এবং সংসার খরচ দেন না। এর প্রতিবাদ করলেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তার মেয়েকে আবারও অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে তিনি খোঁজ পান। নির্যাতনের খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যান তিনি। মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এদিকে, হাসপাতালে স্ত্রী ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে হিরো আলম থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে হিরো আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া এরুলিয়া বাজারে তার অফিস এবং বাড়িতে গিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এ কারণে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের অভিযোগে প্রাথমিক অনুসন্ধানকারী পুলিশ কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম বলেন, \’মঙ্গলবার রাতে হিরো আলম থানায় হাজির হয়ে তার শরীরে জখমের চিহ্ন দেখান। অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, হিরো আলমের নির্যাতনে তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।\’