দেশের বাইরে থেকেও প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকার অভিযোগ উঠেছে একজন সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা উত্তর কলারণ দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) কনক প্রভা ডাকুয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ।
জানা যায়, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে মাদরাসায় অনুপস্থিত আছেন ওই শিক্ষক। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী জানান, প্রতিদিন সকল শিক্ষক ক্লাসে পাঠদান করতে গেলে সুপার ও সহসুপার ওই শিক্ষকের নামের স্থলে জাল স্বাক্ষর দিয়ে হাজিরা খাতা আলমারিতে আটকে রাখেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে উত্তর কলারণ দাখিল মাদরাসায় গিয়ে সুপার আলী হায়দার খানকে পাওয়া যায়নি। তিনি দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে তার কোন দায়িত্ব নেই বলে কেন্দ্র সচিব মাওলানা সরোয়ার হোসেন জানান।
এসময় শিক্ষিকা কনক প্রভা ডাকুয়াকেও মাদরাসায় পাওয়া যায়নি। ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষিকা কনক প্রভা প্রায় ২ মাস ধরে মাদরাসায় আসেন না।
তবে এ বিষয়ে ওই মাদরাসার সহসুপার মো. আব্দুস জব্বার শেখকে শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখাতে বললে তিনি হাজিরা খাতা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।
উত্তর কলারণ দাখিল মাদরাসা সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষক কনক প্রভা ডাকুয়া চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার কথা আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। তবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
মাদারাসা সুপার মো. আলী হায়দার খান বলেন, ‘শিক্ষিক কনক প্রভা ডাকুয়া ৫ দিনের ছুটিতে গিয়ে দুই মাস অনুপস্থিত আছেন এটি সত্য। তবে তার হয়ে অন্য কেউ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন এ অভিযোগ সঠিক নয়।’
বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে কনক প্রভা ডাকুয়াকে শোকজ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
ওই শিক্ষকের শাশুড়ি শ্যামলী রানী ডাকুয়া জানান, ‘আমার ছেলে উত্তম কুমার ডাকুয়া ও পুত্রবধূ কনক প্রভা ডাকুয়া বর্তমানে ভারতে আছে।’