ডাক্তার আশাদুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করার পর কাফনের কাপড় কিনে আনা হয়, চলে দাফনের প্রস্তুতি। বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে আত্মীয়-স্বজনেরা। কাঁন্নায় ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ।
কিন্তু মৃত আশাদুজ্জামানকে বহনকারী গাড়িটি বাড়ি ফেরার সময় রংপুরের পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজারের কাছাকাছি এলে হঠাৎ নড়ে ওঠে মরদেহ। এরপর এ খবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আশাদুজ্জামান পঞ্চগড় সদর উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের মাগুড়মারি গ্রামের মৃত মশির উদ্দীনের ছেলে।
তার পরিবার থেকে জানানো হয়, আশাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগে ভুগছিলেন। দিনমজুরের কাজ শুরু করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তেঁতুলিয়ার ভজনপুর বাজারে অসুস্থ হয়ে পড়েন আশাদুজ্জামান। পরদিন (শুক্রবার) চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে রংপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অবস্থা গুরুতর দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে ওষুধ লিখে দেন চিকিৎসক।
কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করানো নিয়ে দিশাহীন হয়ে পড়েন স্বজনরা। কিছুক্ষণ পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা আশা ছেড়েই দেন। এরপর রমেক হাসপাতালে ভর্তি না করে রাস্তার পাশে এক ডাক্তারকে দেখান। ওই ডাক্তার আশাদুজ্জামানকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।
স্থানীয় মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে অবাক হয়েছি। হতদরিদ্র পরিবারটি টাকার অভাবে আশাদুজ্জামানের চিকিৎসা না করাতে পেরে বিপাকে পড়েছিল। বর্তমানে অসুস্থ আশাদুজ্জামান নিজ বাড়িতেই রয়েছেন।