কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রী উপজেলার কাশিপুরের অনন্তপুর বেড়াকুটি গ্রামের ফরিদুল ইসলাম দুলুর মেয়ে। ওই ছাত্রী বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে পাশ্ববর্তি নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম রামখানা গ্রামের ছেলের ভগ্নিপতি আবুলের মিয়ার বাড়ীতে।
জানা গেছে, বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে উত্তর কাশিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে নূর মোহাম্মদ আকাশ নামের অনার্স পড়ুয়া ছেলের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ছেলের ভগ্নিপতি নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম রামখানা গ্রামের আবুলের বাড়ীতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক ভাবে মিলিত হয়।
সোমবার আবার ওই ছাত্রী সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সময় ছেলে আকাশ কৌশলে তার ব্যবহৃত বাই-সাইকেলে তুলে নিয়ে একই বাড়ীতে প্রায় ৪ ঘন্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে নূর মোহাম্মদ ছাত্রীকে তার বাবার বাড়ীর সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
বর্তমানে সে তার বেড়াকুটি বাজারের পাশে ফুফু শাহেরার বাড়ীতে অবস্থান করছে। ছাত্রীর বাবা ফরিদুল ইসলাম দুলু জানান, যে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। আর যদি বিচার না পাই তাহলে আত্মহত্যা করব। এ প্রসঙ্গে কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মন্ডল জানান, আমি এই জঘন্য ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করব। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ পেলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস