কলেজে পড়া বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি তাকে দুপুরের ভাত খাওয়াতে গিয়েছিলেন। সুযোগ পেয়ে তাকেই ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ির চালক আবদুল গফফারের (৫৭) বিরদ্ধে।
অভিযুক্ত গাফফারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জেলার শ্যামনগর উপজেলার বাদোঘাটা গ্রামের গহর গাইনের ছেলে। নির্যাতিত মেয়েটিও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে।
শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার মেয়েটিকে শারীরিক পরিক্ষা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বাদোঘাটা গ্রামে চালক আবদুল গফফারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শনিবার দুপুরে গফফারের স্ত্রী আমেনা বেগম মেয়েটির হাতে স্বামীর জন্য খাবার পাঠান। এ সময় ইউএনওর বাসভবন এলাকার একটি নির্জন কক্ষে একা পেয়ে মেয়েটিকে করে ধর্ষণ করে গাফফার।
শ্যামনগর থানার এসআই রাজ কিশোর জানান, দুপুর আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটলেও মেয়েটি বাড়িতে জানায় সন্ধ্যায়। এরপরই মেয়েটি ও তার মা থানায় এসে মামলা করে। মামলার পর গাফফারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, গফফারের তিন স্ত্রী রয়েছে। অপরদিকে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবাও গ্রামের বাড়ি কাচলাহাটিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। দরিদ্র ও বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি তার মার সঙ্গে ভাড়া থাকেন গফফারের বাড়িতে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস