রাজবাড়ীর পাংশায় নিজের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজা মিয়া (৩৮) নামে এক রিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে আটক করা হয়। রাজা মিয়া ওই ইউনিয়নের নিভা গ্রামের বাসিন্দা।
পাংশা থানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, তার বাবা-মা দু’জনেই কুষ্টিয়া থাকে। তার বাবা সেখানে রিকশা চালায়। মা একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। সে বাড়িতে দাদির কাছে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। প্রায় একবছর ধরে তার বাবা মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করতো। সবশেষ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তার বাবা বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে আবার কুষ্টিয়া চলে যায়। এরপর এ ঘটনা নির্যাতিত মেয়েটি তার চাচাসহ এলাকার লোকজনদের জানায়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজা মিয়া আবারও বাড়িতে আসে। এ সময় তারা তাকে মারধর করে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস রাজা মিয়াকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন পরিষদে শত শত মানুষের সামনে রাজা তার নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরে তিনি থানায় ফোন করে রাজা মিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ওসি আহসান উল্লাহ্ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া তার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে