টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং চাকমারকুল ক্যাম্পের ওমর হাশেমের শিশু কন্যা হারেসা (১০)। ক্যাম্প পরিদর্শনের শুরুতে তার সাথে কথোপকথন করেন জাতিসংঘের বিশেষদূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মিয়ানমারের ওপারে নির্যাতন এবং এপারে অবস্থার কথা জানতে চান এ দূত।
হারেসার সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা শেষে জি ব্লকের ঘর নং ২৮৫ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে যান। তাদের কাছ মিয়ানমার অবর্ণনীয় নির্যাতনের কথা শোনার পাশাপাশি ক্যাম্পে ত্রাণ পাওয়া না পাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। এ সময় তিনি অশ্রুসিক্ত হন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। পরে ব্র্যাকের একটি ক্যাম্পে বসে রোহিঙ্গা দুস্থ ও প্রতিবন্ধী অভিভাকদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত ও হলিউড বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। সোমবার দুপুর ১ টারদিকে তিনি ইউএনএইচসিআরের গাড়ি বহর নিয়ে টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন।
জানা যায়, জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত প্রথমে চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লক যান। এরপর জি-ব্লক গিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের কাছ থেকে মিয়ানমারের সেনা ও বর্মীদের কর্তৃক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড এবং বসত-বাড়ি অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শুনেন। এরপর কি কি পদক্ষেপ নিলে তারা স্বদেশে ফিরে যেতে আগ্রহী তার মতামত নেন।
এছাড়া বি-ব্লকের এনজিও ব্র্যাকের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথেও মত বিনিময় করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এরপর বিকাল ৪টার দিকে তিনি ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে ইনানীতে অবস্থিত হোটেল রয়েল টিউলিপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অস্থায়ী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শন করে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মিলিত হবেন বলে জানা গেছে।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছান। হলিউড বিখ্যাত অভিনেত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০১২ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস