টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শ্বশুরবাড়িতে মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা সদরের বংশাই রোডে অবস্থিত শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তিনি আত্মহত্যা করেন।
নিহত মনিরুল ইসলাম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে। তার স্ত্রী আইভি আক্তার সরকারি সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তবে মনিরুল বেকার ছিলেন। মনিরুল ও আইভির সংসারে পাঁচ বছরের ছেলে মুসা ও পাঁচ মাস বয়সী আরিশা নামে কন্যা রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত মির্জাপুরের বংশাই রোডে অবস্থিত শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসার তৃতীয় তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।
মনিরুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে নামেন। সকাল ৯টার দিকে বাসায় ফিরলে স্ত্রী তাকে নাস্তা খাওয়ার জন্য বলেন। এ সময় মনিরুল পরে খাবেন বলে হঠাৎ তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় স্ত্রী আইভি ও শাশুড়ি দরজা খুলার চেষ্টা করেন। দরজা খুলতে না পেরে তারা চিৎকার করলে অন্য ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা এসে স্টিলের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান মনিরুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী আইভি আক্তার জানান, মনিরুল উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবত বেকার জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। রাতে তার মা ও বোনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন। সকালে মনিরুলের যশোর যাওয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে