তুলে নিয়ে বিয়ে, ২ মাস পর কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বিয়ের দুমাসের মাথায় এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বেলা ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তানিয়া আক্তার উপজেলার রুহিতা গ্রামের জাহাঙ্গীর মাঝির মেয়ে ও হাজী জালাল উদ্দিন মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তার স্বামী ইমরান পাথরঘাটা কলেজের একই শ্রেণির ছাত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রতিবেশী জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময়ই মুঠোফোনে কথা বলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হতো। ঘটনার আগের দিন রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মুঠোফোনে পরকীয়া করা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আজ সকালে তানিয়ার শাশুড়ি পারভীন বেগম ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির বাইরে যান। কাজ শেষে ঘরে এসে তানিয়াকে না দেখে তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

একপর্যায়ে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে তানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার শাশুড়ি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

তানিয়ার নানা আ. ছালাম বলেন, ‘তানিয়ার এসএসসি পরীক্ষার সময় থেকেই ইমরান তাকে উত্ত্যক্ত করতো। পরীক্ষা শেষে তানিয়াকে তুলে নিয়ে যায় ইমরান। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় হাজী জালাল উদ্দিন মহিলা কলেজে হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা শুরু করে তানিয়া। কিছুদিন পর সেখান থেকেও ইমরান তানিয়াকে তুলে এনে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া থেকে নোটারির মাধ্যমে বিয়ে করে চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করে তানিয়া ও ইমরান। সেখান থেকে কিছুদিন আগে তারা পাথরঘাটা এসে বসবাস শুরু করে। আর আজ এ ঘটনা ঘটলো।’

পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জেনেছি ইমরান ছেলেটি বখাটে। দাম্পত্য কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস

Scroll to Top