নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে ভোটের দিন রাতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে গিয়েছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল গিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এ সময় হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের দিন আমাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার বিচার পরে, আগে আমার এই বোনের অপরাধীদের বিচার করেন।
তিনি আরও বলেন, গরীবই গরীবের দুঃখ বোঝে। তাই আমি ছুটে আসছি। আমি নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। চাই তাদের ফাঁসি হোক, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রোববার রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল যুবক ওই নারীর বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামী-সন্তানদের অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ করে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সংসদ নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় ওই নারীর সঙ্গে কেন্দ্রে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তর্ক হয়। যুবকরা ওই নারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই গণধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে