ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হামিদা বেগম নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ফ্যাশন করে ক্লাসে আসায় স্কুল চলাকালে চুল কেটে দেয়ার ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় হামিদা বেগমের বিচার দাবি করে জেল প্রশাসক (ডিসি) মোহাং সেলিম উদ্দিন ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দে বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক হামিদা বেগম চুল কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী ক্লাসের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আসছে। তাকে ভয় দেখানোর জন্য চুল কাটার ভয় দেখানো হয়েছে মাত্র, চুল কাটা হয়নি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রোববার ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসার পর তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। অভিভাবক অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাবিলা চৌধুরী (দিবা, রোল-৩৪) প্রতিদিনের মতো শনিবার বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করছিল। স্কুল চলাকালে বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক হামিদা বেগম হঠাৎ করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে সহপাঠীদের সামনে নাবিলা চৌধুরীর চুল কাঁচি (সিজার) দিয়ে কেটে দেন। কী অপরাধে চুল কাটা হয়েছে, জিজ্ঞাসা করলে মেহেদি দিয়ে চুল রং করার অপরাধে কেটেছেন বলে নাবিলাকে ওই শিক্ষক জানান। এ ঘটনায় নাবিলা চৌধুরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সহপাঠীদের সামনে লজ্জিত হয়। পরে নাবিলা বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে তাঁরা বিষয়টি লিখিত অভিযোগ আকারে জানান।
নাবিলা চৌধুরী বলে, শিক্ষক হামিদা বেগম বিনা অপরাধে তার চুল কেটে দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তুই মাথায় কেন মেহেদি দিয়ে চুল কালার করলি, তাই তোর চুল কেটে দেওয়া হলো।’
প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টির জন্য ছাত্রীদের একটু ভয় দেখানো হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষক ছাত্রীর চুল কাটতে পারেন না, একটু ভয় দেখানো হয়েছে। তারপরও ছাত্রীর অভিভাবক ও শিক্ষকের সঙ্গে সমঝোতা করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম