পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠি ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতা সৌদি আরব থেকেও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার দাবি করেছেন।
দাবীকারীর নাম কাইউম খান। তিনি উপজেলার বাঘাজোড়া গ্রামের মৃত ছায়েব আলীর ছেলে। গ্রেনেড হামলায় আহতদের নিয়ে গত ২১ আগস্ট রাত ৯টায় বিটিভিতে প্রচারিত ২১ আগস্ট স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘রক্তাক্ত ২১ আগস্ট’ অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলায় আহত হিসেবে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। এ ছাড়া ওই দিন বিকালে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা সংক্রান্তে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড হামলায় আহতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একান্তে কথা বলার ছবি পরদিন (গত ২২ আগস্ট) কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। ওই ছবিতেও কাইউম খান গ্রেনেড হামলায় তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন প্রধানমন্ত্রীকে দেখাচ্ছে এমন চিত্র রয়েছে।
বিটিভিতে প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানসহ পত্রিকায় ছাপানো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাইউম খানের ওই ছবি দেখে তার নিজ গ্রামবাসীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতবাক হয়েছেন এবং দলের সঙ্গে এমন প্রতারণার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাদের দাবি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় কাইউম খান সৌদিতে চাকরিরত ছিলেন। সেখানে তিনি এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার আঘাতের চিহ্নকে তিনি গ্রেনেড হামলায় আহতের চিহ্ন বলে ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে সৌদি থেকে দেশে ফিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন কাইউম খান। বর্তমানে তিনি উপজেলার শাঁখারীকাঠি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহযোগিতা করায় তিনি এ সুযোগ গ্রহণের জন্যই ঘটনার ১৩ বছর পর নিজেকে ওই হামলায় আহত হিসেবে দাবি করেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান।
এ বিষয়ে কাইউম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছি এটাই সত্য। স্থানীয় রাজনীতির প্রতিহিংসার কারণে আমার প্রতিপক্ষ এটিকে মিথ্যা বলে প্রচার করছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ