টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা করা তাড়াশের রুপা খাতুনের (২৭) মরদেহ কবর থেকে তোলার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্টেট ও জেলা প্রশাসক খাঁন মো. নুরুল আমিন এ আদেশ দেন।
রুপা হত্যা মামলার আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন্
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে দুপুর ১টার দিকে টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্টেট ও জেলা প্রশাসক খাঁন মো. নুরুল আমিন কবর থেকে রুপার লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
তিনি আরো জানান, দুপুর ২টার দিকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কায়ুম সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে রুপার লাশ উত্তোলন করা হবে।
এদিকে মুঠোফোনে রুপার ভাই হাফিজুর রহমান জানান, লাশ উত্তোলনের পর তাড়াশে রুপার জন্মস্থান আসানবাড়ী গ্রামে আনা হবে। পরে বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
প্রসঙ্গত. গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানা পুলিশ ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ২৫ মাইল এলাকার সুমী নার্সারির নিকট রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিন ময়না তদন্ত শেষে মধুপুর থানা পুলিশ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইলের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করেন। ঘটনার তিনদিন পর সোমবার ছবি দেখে রুপার লাশ সনাক্ত করেন বড় ভাই মো. হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় বাসের চালক, হেলপার, সুপারভাইজারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ