নরসিংদীর পলাশে হাটবাজার পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী সায়মুন রসুল শান্ত, পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াছিন মৈসান, নরসিংদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ নিহাদ, পলাশ শিল্পাঞ্চাল কলেজের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম তানিম ও চরসিন্দুর এলাকার শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় চরসিন্দুর বাজারে কলার ও পশুর হাট পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইউনিয়নের বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট চলাকালীন শিক্ষার্থীরা হাটে অবস্থান নেয়। পরে সন্ধ্যার পর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী সায়মুন রসুল শান্ত গাজী জানান, বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে হাটবাজারে চাঁদা তুলতেন। এতে আমরা তাদের চাঁদা তুলতে বাধা দেই। ফলে বাজারটি চাঁদাবাজ মুক্ত হয়। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট চলাকালীন চাঁদা তুলতে না পারায় রাত ৮টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এলাকার বাইরে থাকায় কী কারণে এ সংঘর্ষ হয়েছে তা জানতে পারিনি। ঘটনা জেনে আপনাদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
পলাশ থানার ওসি মো. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সংঘর্ষস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।