অতি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির পর এবার রাঙামাটিতেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড় ধসে প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
গত কয়েক দিনের থেমে থেমে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল ভয়াবহ আকার ধারণ করায় কাউখালী উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। কাউখালী উপজেলা সদরে অবস্থিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় সর্বত্র ভয়াবহ অবস্থা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি এ এলাকায় জন্মের পর বিগত ২০/৩০ বছরে পানি দেখেননি।
কাউখালী বাজারের সন্নিকটে কাউখালী খালের উপর তৈরি করা বিকল্প সেতু যে কোন মূহুর্তে পানির ধসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোদমে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরের একেবারে কাছাকাছি কার্বারী পাড়া এলাকায় নির্মিত সরকারি আশ্রয়পাহাড় ধসে প্রকল্পের সব ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গভীর রাতে হঠাৎ করে পানি বেড়ে গেলে এসব ঘরে বসবাসকারীরা কোন মতে জীবন নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছে।
কাউখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় চল্লিশটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি আরো জানান উপজেলা প্রশাসনসহ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় তায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। বৃষ্টি কমে আসলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হবে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হ্যাপী দাস জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।