পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারের টেকনাফে দুই সহোদরসহ তিন শীর্ষ ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ শ\’ রাউন্ড কার্তুজ ও ৫৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী গাজী পাড়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল পুলিশ বুধবার ভোররাতে রঙ্গিখালীর গহীন পাহাড়ে ডাকাতের আস্তানায় অভিযানে যায়। ডাকাতদের আস্তানা ঘিরা ফেললে তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। পুলিশও জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় পুলিশ-ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় সশস্ত্র ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র তৈরির কারখানায় তল্লাশি করে ১৮টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ২ শ\’ রাউন্ড কার্তুজ ও ৫৫ হাজার ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বেদ্যের ছেলে ছৈয়দ আলম (৩৬) ও সহোদর নুরুল আলম (৩৭) ও শব্বির আহমদের ছেলে মো. মনাইয়াকে (২২) উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধদের টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এতে পুলিশের ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জন আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ডাকাতদের মৃতদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।