কথা কাটাকাটির জেরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওয়াসিম হাসনানকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগে বাসটির হেলপার মাসুক আলীকে (৩৮) আটক করেছে সুনামগঞ্জ পুলিশ।
শনিবার রাত ২টায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। মাসুক সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার মৃত দৌলত আলীর ছেলে।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটির চালক জুয়েল আহমেদকে আটক করে সুরমা থানা পুলিশ।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান রাত সাড়ে ৩টায় তাৎক্ষনিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাতক হেলপার মাসুক আলীকে তার শ্বশুরবাড়ি সিংচাপইড়র গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বাসের সুপারভাইজারকে ঘটনার জন্য দায়ী করে। তাকে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো. দুলন মিয়া, সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ, ছাতক থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন, সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি (অপারেশন) সঞ্জুর মোরশেদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানিয়েছেন, বাসচালক জুয়েল আহমদকে আটক করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। রাত ১১টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন মো. ওয়াসিম হাসনান (২১)। তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়তেন। ওয়াসিমের বন্ধুদের অভিযোগ, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাসের হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হন রাকিব নামের একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রতিবাদে রাতে নগরীর প্রবেশদ্বার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে সড়ক অবরোধ করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।