চালুর পর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহন চলছে না। যত গাড়ি চলছে তার ৯৯ শতাংশই প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস। যাত্রী ওঠানামার সুযোগ নেই বলে উঠছে না বাস, মিনিবাস। এই খরা কাটাতে আগামী সোমবার থেকে এলিভেটেড এক্সওয়েতে চলবে বিআরটিসি বাস।
সেদিন আটটি বাস দিয়ে শুরু হবে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিরতিহীন সেবা। ‘শাটল সার্ভিস’ হিসেবে চলবে এসব বাস। অর্থাৎ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য পথে চলবে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে বাস প্রতি ১৬০ টাকা টোল দিতে হলেও বাসের যাত্রীদের আপাতত বাড়তি ভাড়া দিতে হবে না। ঢাকার অন্যান্য বাসের মতো কিলোমিটারে ২ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া দিতে হবে।
আপাতত এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীদের বাসে তুলবে বিআরটিসি। এরপর এক টানেই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নেমে যাবে ফার্মগেট।
ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন সংসদ ভবনের খেজুরবাগান এলাকার বঙ্গবন্ধু গোলচত্বরে। সেজন্য উত্তরার যাত্রীরা উঠতে পারবেন খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি কিংবা বিজয় সরণি থেকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আপাতত ভাড়ায় টোল যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় আমরা গাড়ি চালাব। যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা এবং জনগণকে সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য, তাই এখন বাস চালু করা। বিআরটিসি কোনো জায়গায় লাভ করবে, কোনো জায়গায় লস করবে।
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, যাত্রীদের সাড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
