মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি: পিন্টু

সংগৃহীত ছবি

সরকারের কাছে অভিযোগকারী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মতে, “মৃত মাকে শেষবার দেখার জন্য প্যারোলে মু‌ক্তি মিল‌লেও আমার বড় ভাই আব্দুস সালাম পিন্টুকে আস‌তে দেওয়া হয়‌নি। এই নির্যাতন-নি‌পীড়ন কখনই ভালো পথ দেখায় না।’

গতকাল রবিবার বিকালে জেলার গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মায়ের নামাজে জানাজা শেষে যুবদলের সভাপতি এসব কথা বলেন।

শনিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু এবং সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর মা দুজনেই নিহত হন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান টুকুর মা মোছা. সালমা বেগম। সালমা বেগমের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে গোপালপুর গুলিপেচা এলাকায় আনা হলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা একনজর দেখতে ভিড় করেন।

আবদুস সালাম পিন্টুর জানাজায় অংশ নিতে না দেওয়ায় যুবদলের সভাপতি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যারা কর‌ছেন, যা কর‌ছেন তারা থে‌মে যান। আপনারা অনেক ক‌রে‌ছেন। আমার ভাই এই অঞ্চলের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি যেমন একজন ভালো মানুষ, তেমনই পরিচিত। আমার ভাই তার মৃত মায়ের মুখ দেখতে পাবে না!

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাছির, কৃষকদলের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোঃ রাসেলসহ জেলা উপজেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় যুবদল ও যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার।

জানাজা শেষে সালমা বেগমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।