পেঁয়াজের দাম ৩-৭ টাকা কমে, এখন ৩৩ টাকা

পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় ধীরগতি

দিনাজপুরের হেলিতে গত সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে। এটি প্রতি কেজি ৩২-৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা প্রতি কেজি ৩-৭ টাকা কমেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির ফলে দাম কম। দাম কমলেও ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। সাধারণ ক্রেতারা আবার ভালো বোধ করছেন, তাই দাম কিছুটা কমানো হয়েছে।

যদিও ভারত থেকে আমদানি এখনও হচ্ছে, ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে ২০ টাকার পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকার বেশি কেন তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হিলি বাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম খাবার হোটেল মালিক বলেন, আমার খাবার হোটেল আছে। প্রতিদিন ১০ কেজির ওপরে পেঁয়াজ লাগে। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচামরিচ, আদা, রসুনসহ সব নিত্যপণ্যের দামই বেশি। খাবার হোটেল চালাতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যদি খাবারের দাম একটু বেশি নেওয়া হয় তখন ক্রেতারা তর্ক করে। খুব সমস্যার মধ্যেই হোটেল চালাতে হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হতো তা হলে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বৃদ্ধি করতে সাহস পেত না।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে। কেজিপ্রতি ৩-৭ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকা দরে। তবে আগের মতো ক্রেতা নেই বললেই চলে। আগে আমরা ৮-১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করতাম, এখন ৩-৪ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

হিলি পানাম পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব কাঁচাপণ্য আমদানি হয়ে থাকে, আমরা সেসব পণ্য আগে খালাস করার জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করে থাকি। ভারতীয় ট্রাক থেকে খালাসপূর্বক ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সেই পণ্য সরবরাহ করে থাকেন। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

হিলি কাস্টমস জানায়, চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২২১টি ভারতীয় ট্রাকে ৬ হাজার ৬শ ৩২ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।