বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান এ তথ্য জানান।
বন্যার কারণে কালভার্ট, আঞ্চলিক সড়ক, কাঁচা রাস্তা এবং মহাসড়কের ভেঙে গেছে । বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেড়িবাঁধ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। বীজতলা, ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের সবই বন্যায় ধ্বংস হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারে উল্লেখযোগ্য কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
ভোরে ও দুপুরে হালকা বৃষ্টি দেখা গেলেও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তা সত্ত্বেও, জল কমতে শুরু করলেও, বাড়ি ফেরার বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বাড়িতে রান্না ও খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাব রয়েছে। বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি জলমগ্ন সড়কে ভাঙনের তীব্রতা দেখা গেছে। কাকরা-মিনাবাজার সড়কের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্তত ৫০টি জায়গা ভেঙে গেছে। সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান জানান, বন্যার পানি মহাসড়ক থেকে নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় পানি রয়েছে। বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তাও কমে আসবে।