কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে নাটোর সদর ও বাগাতিপাড়ায় বাড়িঘর, আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও শিলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়াও কৃষকের সবুজ ফসল মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মেঘে আচ্ছন্ন হয় আকাশ। এর কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। তার কিছু সময় পরই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে পানির পরিমাণ কম হলেও প্রচুর শিল ঝরেছে। শিলাবৃষ্টি শেষে কোথাও কোথাও শিলার স্তূপ জমে থাকতে দেখা যায়। তবে বৃষ্টির চেয়ে ঝড়ো হাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী উপজেলাজুড়ে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আর সেই বৃষ্টিপাতে ফসলি ক্ষেত ছাড়াও ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ এমন ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ধান, আম, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, ‘উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি বেশি হয়েছে। এতে ধান ও আমের বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’