রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি অসময়ে কমায় শত শত ডুবোচর ভেসে উঠেছে। ফলে আটকা পড়ছে লঞ্চও। তাই বেশ ক’দিন ধরে রাঙামাটি শহরের সঙ্গে উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এখন ছোট নৌযান একমাত্র ভরসা। তাতেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে নৌ পথে যেমন ভোগান্তি বেড়েছে, তেমনি ভাটা পড়ছে উপজেলার ব্যবসা বাণিজ্যেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হ্রদ ড্রেজিং না হলে এ সমস্যা আগামীতে আরও বাড়বে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলধারা রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। জেলার ৬ উপজেলার নৌপথের একমাত্র সংযোগ এই হ্রদ। তবে সম্প্রতি হ্রদে পানির স্তর দ্রুত কমে যাওয়ায় নৌপথে বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি।
হ্রদের বুক জুড়ে ভেসে উঠা এসব ডুবোচরে আটকা পড়ছে লঞ্চ ও স্পিড বোট। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। তাই অসময়ে বন্ধ হয়েছে লঞ্চ চলাচল। ছোট নৌযানে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
শুধু যাত্রী নয়, উপজেলার ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। মালামাল পরিবহনে সৃষ্টি হয়েছে নানা সমস্যা। কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং করা না হলে এ সমস্যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে রাঙামাটি চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে নৌ যোগাযোগসহ উপজেলাবাসীর জীবনমান সচলে বিকল্প নেই ড্রেজিংয়ের।