খুলনার দৌলতপুরে নিজ বাড়ির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে পুলিশ অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুরে উদ্ধার করেছে। ২৯ দিন ধরে মায়ের নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমাকে উদ্ধারের কথা জানান খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা। পুলিশ বলছে, সাজানো ছিল নিখোঁজের ঘটনা।
গত ২৭ আগস্ট খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। এরপর থেকে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার বোন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
উদ্ধারের আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামে লাশ উদ্ধারের পর দাফন হওয়া অজ্ঞাত নারীর লাশ নিজের মা রহিমা বেগমের বলে দাবি করেছেন খুলনার দৌলতপুরের মরিয়ম মান্নান।
তবে উদ্ধারকৃত লাশের পোশাক দেখে মরিয়ম নিশ্চিত হতে পারেননি সব পোশাক তার মায়ের কী না, তাই মরিয়ম মান্নান মায়ের লাশ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করানোর আবেদন জানান। এরই মধ্যে উদ্ধার হলেন নিখোঁজ মরিয়মের মা রহিমা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। খুলনা থেকে পুলিশের একটি দল এবং বোয়ালমারী থানা পুলিশ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে। তাকে এখন খুলনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।