ভোলার দৌলতখানে নিজের মাথার পাগড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক ইমাম আত্মহত্যা করেছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার চরখলিফা ৭ নং ওয়ার্ডের হাসমত বেপারী বাড়ির জামে মসজিদে।
মৃত মো. আবদুল হালিম (২৪) ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের ফারুক ফরাজির ছেলে। তিনি ইমামতির পাশাপাশি উপজেলার চরখলিফা কওমী মাদ্রাসায় পড়তেন দাওরা হাদিস বিভাগে। আত্মহত্যার আগে তিনি সুইসাইডাল নোট লিখে গেছেন।
একাধিক বিয়ে করা ইমাম আবদুল হালিম সুইসাইডাল নোটে লিখেছেন, আমার লাশটা আগুনে পুড়িয়ে পাহাড়ে, নদীতে, বাতাসে উড়িয়ে দিও। কারণ, আমার জীবনটাই হলো পাপিষ্ঠ। জীবনে আমি এমন কোন জায়গায় যাইনি যে জায়গা আমার পাপের স্বাক্ষী হয়নি। অর্থাৎ যেখানে গিয়েছি পাপ করেছি। সবাইকে বলছি, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। ছোটবেলা থেকেই অনেক গুনাহ করেছি। তাই এ দুনিয়া ভালো লাগেনা।
ইমাম আবদুল হালিমের ভগ্নীপতি মো. রাসেদ জানান, আবদুল হালিমের দুই স্ত্রী ছিল। প্রথম স্ত্রীর ঘরে চার মাসের একটি কন্যা সন্তান আছে। স্ত্রীরা তার মন মতো না চলায় তিনি উভয় স্ত্রীকে তালাক দেন। এছাড়া এলাকায় কিছু ধার দেনাও ছিল। এসব কারণে মানসিক চাপ থেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। চার মাসের কন্যা সন্তানটিকে দত্তক দেয়া হয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।