চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া খাদিজা ফিরেছে বাবার কাছে

বাবা-মা ঈদে ছুটি না পাওয়ায় বাড়ি যাওয়া হয়নি আট বছরের শিশু খাদিজার। তাই ঈদের পর খাদিজা পরিবারের সঙ্গে যাচ্ছিল গ্রামের বাড়ি। মা ট্রেনের কামরায় থাকলেও সে ছিল ট্রেনের ছাদে। সঙ্গে ছিলেন রাশেদ মিয়া নামের এক স্বজন ও খাদিজার বাবা আলতাফ হোসেন।

ট্রেন ময়মনসিংহ নগরীর মিন্টু কলেজ রেলগেইট এলাকায় পৌঁছালে ডিশের তারে লেগে ছাদ থেকে খাদিজা ও রাশেদ নিচে পড়ে যায়। এতে রাশেদ মিয়া প্রাণ হারান। তবে বেঁচে যায় খাদিজা। তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের সন্ধান শুরু করে পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটিকে বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ।

তিনি বলেন, আজ সকালে ঢাকা থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ‘দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার’ ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় শিশু খাদিজা ও তার স্বজন রাশেদ। ট্রেনের ছাদে খাদিজার সঙ্গে তার বাবাও ছিলেন। শিশুটি যখন পড়ে যাচ্ছিল তখন তার বাবা তার পা টেনে ধরে ব্যর্থ হন। চলন্ত ট্রেনে তিনি ময়মনসিংহ পৌঁছান। পরে ফিরে এসে মেয়েকে পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যান।

খাদিজার বাবা আলতাফ হোসেন শেরপুর জেলার কোনুয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সকালে জানিয়েছিলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে রাশেদ নিহত হন। তিনি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পশ্চিম হামলা গ্রামের নাজির সোনা মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।