দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নৌরুটের ঘাট প্রান্তে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির’ কারণে আজ মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে থেকে মাঝারি ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হলেও এখনও অস্বাভাবিক ভাবে তেমন কোন প্রভাব পড়েছে না দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। জানা গেছে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলাধীন দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীর পানি কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি’র অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে নৌরুটে বিকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্বাভাবিকভাবেই ফেরি চলাচল করছে। নৌরুটে বড় ফেরি ১১টি, ইউটিলিটি ফেরি ৬টি ও টানা ফেরি ২টি যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির’ নৌরুটের পদ্মা নদীর পানির স্রোত বৃদ্ধি পায়, তাহলে নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ কি.মি দূরে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলাকাজুড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও দুই শতাধিকের বেশি পণ্যবাহী (অপচনশীল) ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে। নদী পাড়ের অপেক্ষায় থাকা কাঁচামাল (পচনশীল) ভর্তি ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।
নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাক ড্রাইভার মোহা. রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ড্রাইভার ও হেলপাররা বলেন, সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। গাড়ী থেকে বের হতেও পারছি না, খেতেও পারছি না।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে প্রায় ৩ কি.মি এলাকাজুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক নদী পাড়ের অপেক্ষা রয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের ৪টি ফেরী ঘাট দিয়ে নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে।