বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে থাকা নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাচ্ছে ‘অশনি’ নামের এ ঘূর্ণিঝড়টি। এটি আগামী সোম বা মঙ্গলবার প্রবল শক্তি নিয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে আঘাত হানতে পারে।
গতকাল শনিবার থেকেই ভারতের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোর তৎপরতাও আপাতত বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। এ রাজ্যের অস্বস্তি আগামী কয়েক দিনে আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। বাড়বে তাপমাত্রাও, তবে কোনো জেলাতেই নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। গতকাল শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আমফান, ইয়াসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। তবে এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তেমন আশঙ্কা নেই।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কাঁচাবাড়িতে যারা থাকেন, তাদেরকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
সংবাদ সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন