মুকুলে মুকুলে আর মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে সাতক্ষীরার আম বাগানগুলো। তবে সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে তুলনামূলক মুকুল ফুটেছে কম হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ আমগাছে। তবে কৃষি বিভাগের আশা, এবারও বাগান মালিকরা আম রপ্তানি করে লাভবান হবে।
সর্বাধিক আমের বাগান রয়েছে সাতক্ষীরার সদর, তালা, কলারোয়া দেবহাটা উপজেলায়। এবারও বাগান মালিকরা সাতক্ষীরার হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও আম্রপালি বিদেশে রফতানি উদ্যোগ নিয়েছেন। রফতানিযোগ্য বিষমুক্ত আম চাষ করা হচ্ছে ২০০ বাগানে। প্রতিটি আম গাছে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। তবে সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ আম গাছে তুলনামূলক মুকুল ফুটেছে কম। গাছে আসা পর্যাপ্ত আমের মুকুল ধরে রাখতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় বাগানের শ্রমিকরা। যে মুকুল এসেছে তা পরিচর্যা করেই গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা বাগান মালিকদের।
রফতানিযোগ্য বিষমুক্ত আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা উৎপাদন ভাল করবে বলে কর্মচারী ও ব্যবসায়ী আমবাগান মালিকগণ জানান।
আম রপ্তানি করে লাভবান হতে ও উৎপাদন ধরে রাখতে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বাগান মালিকদের পরামর্শ দেন বাগান পরিষ্কার রেখে ৩ থেকে ৪ বার গাছে স্প্রে করার সঙ্গে সঙ্গে গরমের সময় গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৪ হাজারের বেশি হেক্টর জমির বাগানে আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে।