নাটোরের গুরুদাসপুরে খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের এক ছাত্রীকে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী কর্তৃক অনৈতক প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটক ছিলেন অধ্যক্ষ,পুলিশ সদস্যসহ অভিযুক্ত ব্যক্তি জাকির হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
এ দিকে পরিস্থিতি সময় গড়ানোর সাথে সাথে উত্তপ্ত হয়ে পরে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজে ইট-পাটকেল ছোড়ে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তমাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠ্য বিচারের আশ্বাস দিলে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে আটক করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে আসেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কলেজের কর্মচারী মো: জাকির হোসেন ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় এবং উত্ত্যক্ত করে। জাকির হোসেন খুবজীপুর গ্রামের শিক্ষক দিদার হোসেনের ছেলে। এর আগেও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাব দেয় জাকির হোসেন। কলেজ থেকে চাকরিচ্যুত না করা হলে তারা পুনরায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবেন।
অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘এটা ইভটিজিং এর ঘটনা। সমাধানের কথা বলা হয়েছিলো শিক্ষার্থীদের। তারপরও শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ চলমান রেখেছিলো। পরে ইউএনও মো. তমাল হোসেন, এসিল্যান্ড আবু রাসেল, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিনসহ পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অত্র কলেজের সভাপতি মো: তমাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সুষ্ঠ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।