কুমিল্লার মুরাদনগরে নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের সময় ঘুষ গ্রহণের দায়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
এতে নির্বাচন অফিস সূত্র জনায়, গত ৬ জানুয়ারি প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে সময় একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর বিষয়টি তদন্ত করেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম। তদন্তে টাকা গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হলে বুধবার অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করা হয়। তার স্থলাভিসিক্ত করা হয় বরুড়া নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি মুরাদনগর উপজেলায় ২১টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ হবে। এ উপলক্ষ্যে গত ৬ জানুয়ারি ছিল প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের দিন। ২১টি ইউনিয়নের জন্য ৭টি বুথ করা হয়। সেই সুবাদে হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীর দায়িত্বে ছিল মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন। ওই সময় তিনি প্রার্থিতা বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রার্থী প্রতি ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করেন।