কুমিল্লার মেঘনা কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলার ডুবে দুই শিশু ও এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন মেয়ে। নিহত তিনজন হলেন- তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৫৫), তার নাতিনী আয়েশা আক্তার (১২) ও মরিয়ম আক্তার (৭)। এসব তথ্য সন্ধ্যায় মেঘনা থানা ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মেঘনা নৌ পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নৌ-পুলিশ সূত্রে ও আক্তার হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঢাকায় বসবাসকারী একই পরিবারের ১৪ জন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসনাবাদ ট্রলার ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার ভাড়া করে মেঘনা উপজেলার কাঁঠালিয়া নদীপথে তিতাস উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। দুপুরে কাঁঠালিয়া নদীর মেঘনা উপজেলার পুরান বাটেরা এলাকার চর কাঁঠালিয়া পৌঁছানোর পর আকস্মিক মাছের ঘেরে ও কচুরিপানার মধ্যে আটকা পড়ে ট্রলারটির গতি থেমে যায়। এ সময় চালক আটকে যাওয়া ট্রলারের গতি বাড়িয়ে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ট্রলারটির তলা ফেটে যায় এবং ট্রলারটি ডুবে পানিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা ঢাকা থেকে তিতাস উপজেলার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। জানা গেছে, ওই ট্রলারে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের টিম ও স্থানীয় এলাকার লোকজন চেষ্টা চালিয়ে ট্রলারে থাকা ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।বাকি সাতজন পাড়ে উঠতে।
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আহতদের দাউদকান্দির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেঘনা থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এ দুর্ঘটনায় ৩ জন মারা গেছে। যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রায়পুর গ্রামে।