মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের বছর বলা যেতে পারে ২০২২ সালকে। ২০২২ সালেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সঙ্গে জোরেশোরে এগোচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটির কাজও।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মেগা প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হলে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে। শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে সড়কে তবে শতভাগ সুবিধা পেতে।
গেল কয়েক বছর ধরেই উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে সড়ক মহাসড়কে। দেশবাসী শিগগিরই এসবের সুফল পাবেন – এমন আশ্বাসের কথা শোনালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সক্ষমতা আর সাহসের অনন্য উদাহরণ পদ্মা সেতু। নানা জল্পনা কল্পনা আর বিতর্ককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে গেছে কোটি মানুষের স্বপ্ন সেতু। এখন অপেক্ষা যান চলাচলের। সেটি হবে ২০২২ এর জুনের মধ্যেই।
শুধু তো পদ্মা নয়। সামনের বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে মেট্রোরেল। শুরুতে চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। সেই লক্ষ্যে ইতোম্যধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলানোও হয়েছে।
গাজীপুর ও টঙ্গীর দুঃখ বলা চলে এর খানাখন্দ ভরা রাস্তাকে। সেই দুঃখের অবসান হবে ২০২২ সালের শেষদিকে। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর রুটে চালু হবে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প। পুরোদমে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও। আপাতত এর ব্যাপ্তি এয়ারপোর্ট থেকে মগবাজার পর্যন্ত। শুধু তো রাজধানী নয়, ওদিকে কর্ণফুলির তলদেশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে টানেল। সেটির কাজও এগিয়েছে অনেকটাই।
কাদের বলেন, বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেগা প্রজেক্ট এবং কতগুলো ড্রিম প্রজেক্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পের শতভাগ সুবিধা পেতে সড়কে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। পরিবহন ও সড়কে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে এসব উন্নয়নের সুফল জনগণ পাবে না। মন্ত্রী জানান, এসব বড় প্রকল্প ছাড়াও সারা দেশে ফোর ও সিক্সলেনের বেশ কয়েকটি কাজ চলছে।