উত্তরাঞ্চলের ১০ জেলায় পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। উত্তরে হিমালয়ের হিমেল হাওয়ার দাপট চলছে। উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের আট জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। পাঁচ দিন ধরে পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা সড়কে, নৌপথে দৃষ্টির সীমা কমিয়ে দিচ্ছে। বিঘ্ন ঘটছে বিমান চলাচলেও।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উড্ডয়ন ও অবতরণের সময়সীমায় পরিবর্তন এনেছে । সকালের দিকে অনেক ফ্লাইট দেরিতে ছাড়ছে।
শীতের হু হু বাতাস মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বেশ বিপদে। শীতের বাতাস ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন। শীতের আক্রমণে উত্তরাঞ্চলের মানুষ রীতিমতো জবুথবু। গায়ে কয়েক প্রস্থ গরম কাপড় পরে শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় শীতের তীব্রতা যেমন বেশি, তেমনি কুয়াশাও প্রবল। দেশব্যাপী বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও। সর্দি-কাশি-জ্বর, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজধানী ঢাকাতে এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। তবুও বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তাই ছোট-বড় সব বয়সি মানুষ ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে শীতবস্ত্র পরে বাইরে বেরিয়েছেন। আগামী সপ্তাহ দুয়েক বাদে নগরবাসীও টের পাবেন শৈত্যপ্রবাহের দাপট। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলেছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় বিরাজমান। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বিষুবীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর সুমাত্রা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে।