প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আছপিয়া পাচ্ছেন জমিসহ ঘর, সাথে চাকরীর নিশ্চয়তা

পুলিশের প্রতিবেদনে ভূমিহীন আছপিয়া ইসলাম কাজলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার জন্য পুলিশকেও দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার

জেলা প্রশাসক বলেন, কনস্টেবল পদে চাকরী হয়নি জেনে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের সামনে অপেক্ষমাণ ভূমিহীন আছপিয়া ইসলাম কাজলের বিষয়টি ওয়াকিবহাল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নে আছপিয়ার পরিবার যেখানে থাকে সেখানেই খাস জমি খোঁজ করা হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব তাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আছপিয়ার চাকরী নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ বিভাগকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সভাপতি বরিশাল পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে চাকরী নিশ্চিত সংক্রান্ত কোনো চিঠি বা নির্দেশনা তিনি পাননি বলে জানান।

প্রসঙ্গত, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আছপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আছপিয়া। ২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইন্সে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আছপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। বুধবার হিজলা থানার এসআই মো. আব্বাস ভেরিফিকেশনে আছপিয়া বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নয় উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন।