কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের নাম আবুল কালাম। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পরপরই ওই কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল বলেন, ‘৫নং ওয়ার্ডের জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। এরপর মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা হঠাৎ ধারালো ছুরি নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে দু’জনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে গুলি করে তারা।’ আহতরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক-কর্মী বলে দাবি করেছেন তিনি।
তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর করা অভিযোগ অস্বীকার করে মোশারররফ হোসেন খোকন বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে শেখ কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন খবর পেয়ে ভোটার ও আমার সমর্থকরা ৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে গেলে নৌকার প্রার্থীর ক্যাডাররা গুলি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের ফরিদুল আলম ও টিউবওয়েল প্রতীকের জহিরুল ইসলামের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানেও আমার লোকজন হামলা করেছে বলে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কুতু্বজোম ইউপি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহামুদুর রহমান বলেন, ‘গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। দুই কেন্দ্রই পাশাপাশি। আপাতত দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায় ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘দুটি কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। একটু পরে ভোটগ্রহণ আবার শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’