জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে তিন ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ঘটনায় দুই শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটক করেছে পুলিশ।
ইসলামপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসার আবাসিক হল থেকে নিখোঁজ হন এসব শিক্ষার্থী। তারা হলেন- পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভূকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু (১০) ও মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা (১১)। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মাদ্রাসাটির আবাসিকে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থীদের তাদের অভিবাবকদের হাতে তুলে দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আছাদুজ্জামান, হাফেজ ইলিয়াস, রজনী বেগম, শুফুরী আক্তার নামে চারজনকে রাতেই থানায় আনা হয়।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মাদ্রাসাটি আবাসিক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা রাতে মাদ্রাসা কক্ষেই থাকে। ঘটনার দিন ভোর রাতে শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জাগানো হয়। অন্যান্য ছাত্রীর মতোই দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন ছাত্রীও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। নামাজের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের উদ্ধারে থানায় জিডি করা হয়েছে।’
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সব শিক্ষার্থীকে রাতেই তাদের অভিবাবকদের হাতে তুলে দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মুহতামিম মাওলানা আসাদুজ্জামানসহ চরজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান পেতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।