সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিজিবি আবারও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতছড়ি উদ্যানের মূল ফটক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার ভিতরে মাটির নিচ থেকে ৯টি একনলা বন্দুক, তিনটি পিস্তল ও ১৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম এন সামিউন্নবী চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাতছড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে গত ১ আগস্ট থেকে বিজিবি ওই এলাকায় নজরদারিতে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মাটির নিচে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২ মার্চ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার উদ্ধার করে। এ নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আটবারের মতো অস্ত্র উদ্ধার করা হলো। অস্ত্রগুলো বিজিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পর এগুলো চুনারুঘাট থানায় কিংবা সিলেট সেনা নিবাসে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটো রাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর একই বছরের ১৬ অক্টোবর চতুর্থ দফার গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০টি গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০টি থ্রিনটথ্রি রাইফেলের ১৫২টি, পিস্তলের ৫১৭টি মেশিনগানের ৪২৫টিসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার হয়। সর্বশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।