অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রাজিব (২৭) ও হৃদয় (২০) নামে দুই ওয়ার্ড বয় দগ্ধ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দগ্ধদের মধ্যে রাজিবকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় এ্যাপোলো ক্লিনিকের চতুর্থ তলায় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (অবজারভেশন রুমে) এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ভবনটিতে ওঠা-নামার সিঁড়িটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সরু হওয়ায় দগ্ধ রাজিবকে স্ট্রেচারে করে নীচে নামাতে খুবই বেগ পেতে হয়।
দগ্ধ রাজিবের বাড়ি বরিশাল ও হৃদয়ের বাড়ি বন্দর উপজেলা এলাকায়। তবে তারা দুইজনই ক্লিনিকে থাকেন। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রাজিবের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে।
নার্সরা জানান, দুপুরে অপারেশন থিয়েটার থেকে এক প্রসূতির সিজার অপারেশন শেষে প্রক্রিয়া চলছিল তাকে অবজারভেশন রুমে পাঠানোর। এজন্য দুই ওয়ার্ড বয় রাজিব ও হৃদয় অবজারভেশন রুমটি প্রস্তুত করার কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে রুমের ভেতরে বিকট শব্দ হলে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে দুই ওয়ার্ড বয় আহত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক এসে দগ্ধ দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে দগ্ধ রাজিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর পরামর্শ দিলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।
এ ঘটনার পর চতুর্থ তলার ৪১০ নম্বরের ওই অবজারভেশন রুম থেকে বিস্ফোরণ হওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ যাবতীয় আলামত দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। মালিকপক্ষেরও কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এছাড়া বিকেল পর্যন্ত পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসের কেউ দুর্ঘটনাস্থলে যাননি।
ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক মো. আফজাল হোসেন দাবি করেন, অবজারভেশন সিলিন্ডারের সঙ্গে মিটার সংযুক্ত করার সময় মিটার বিস্ফোরণ হয়ে দুই ওয়ার্ড বয় দগ্ধ হন। তবে ভেতরে কোন রোগী ছিল না। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপর দগ্ধ দুই ওয়ার্ড বয়ের পরিবারকে জানানো হয়েছে। রাজিবের শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং হৃদয়কে এই ক্লিনিকে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।