কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে ফুড কার্ড (রেশন কার্ড) নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ডের মতো ১৯৯২ সালে আসা রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড করার দাবিতে তারা বারবার বিক্ষোভের চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, পুরাতন নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা গত জুলাই মাসের রেশন গ্রহণ করেননি।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (১৯৯২ সালে আগত রোহিঙ্গা) পুরাতন ও নতুন (২০১৭ সালে আগত) নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা বসবাস করে আসছেন। এতদিন পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড নতুন রোহিঙ্গাদের ফুডকার্ডের চেয়ে ভিন্ন ছিল। সকল রোহিঙ্গার মাঝে সমপরিমাণ খাবার বিতরণের জন্য পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড ফেরত নিয়ে গত জুন মাসে নতুন ফুড কার্ড ইস্যু করা হয়। নতুন ফুড কার্ড অন্যান্য ক্যাম্পের সমসাময়িক (২০১৭ সালে) আগত নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ডের অনুরূপ হওয়ায় নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা জুলাই মাসের রেশন উত্তোলন করেননি।
নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের দাবি, নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড এবং তাদের ফুড কার্ড একই রকম হওয়াতে রেজিস্ট্যার্ড ক্যাম্পের পুরাতন ও নবাগত রোহিঙ্গাদের সমান মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবেন না। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) ও ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষ ফুড কার্ড বিষয়ে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা এই সিদ্ধান্তে এখনো অটল।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, ফুড কার্ডের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন তারা এ নিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে তাদের এপিবিএন ক্যাম্পে ডেকে বোঝানো হয় এবং তারা তা মেনে নেয়। এ বিষয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) এবং ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত। আজ রবিবার সকাল থেকেই পুরাতন রোহিঙ্গারা নয়াপাড়া ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে এপিবিএন সতর্ক রয়েছে এবং ক্যাপম্পে টহল জোরদার করা হয়েছে।