ফের একটি লঘুচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সাগর বক্ষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে সাগর ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। উত্তাল সাগর বক্ষের ঢেউয়ের তান্ডবে কারণে জাল গুছিয়ে শতশত মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে জেলেরা আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছে।
এদিকে পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২৬২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এক সপ্তাহ ধরে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয় জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার শত শত ট্রলার নিয়ে সাগর বক্ষে রুপালী ইলিশ পাওয়ার আশায় জাল ফেলে ছিল। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় তারা জাল গুছিয়ে নিরাপদ আশ্রয় ফিরে এসেছে। মাছ না ধরতে পেরে এখন ওইসব জেলেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তারা বলেন, কেবল জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছিল। এ অবস্থায় সাগর রুদ্রমূর্তি ধারন করেছে। অপর একজন জানান, তাদের ট্রলারের ১০ জন জেলে ছিল। ৪০ কিলোমিটার গভীরে সাগরে মাছ ধরা অবস্থায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। তারা সমুদ্রে টিকতে না পেরে জাল গুছিয়ে নিরাপদে তীরে ফিরে এসেছেন।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা পর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আবার তারা তীরে ফিরে এসেছেন। সাগর বক্ষ বর্তমানে প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে।