অবশেষে কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমন (১৪) সেই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিয়েছেন। নসিমন বিয়ের প্রথম দিনেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানের বাড়িতে যান। গতকাল শনিবার (২৬ জুন) রাতে নছিমন তার তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নছিমন কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী নছিমনের। নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি বিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।
গত শুক্রবার (২৫ জুন) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নছিমনসহ দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়ের বাবা বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন বাদ জুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। নৌকা মার্কা নিয়ে তিনি ওই ইউনিয়নের দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরীর বয়স হবে ১৫-১৬ বছর। চেয়ারম্যানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। দুই সন্তানের জনক চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বড় ছেলে বিয়ে করেছেন স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের এক শ্যালিকাকে।