বাংলাদেশের ৩৯তম বৃহৎ শহর সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় তিন মেয়ের পর আবারও মেয়ে হওয়ায় আটদিনের নবজাতককে গলা টিপে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছেন মা শ্যামলী ঘোষ। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক শ্যামলী ঘোষ (৩৬) রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ মে রাতে মানিক ঘোষ ও শ্যামলী দম্পতির একটি মেয়ে সন্তান হয়। তাদের আগের তিনটি মেয়ে রয়েছে। আবার মেয়ের জন্মের পর দিন ২৬ মে মানিক ঘোষ কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর সোমবার (৩১ মে) রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার কাছ থেকে নবজাতকটিও হারিয়ে গেছে বলে পরদিন প্রচার করেন শ্যামলী। মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে বিষয়টি জানার পর টনক নড়ে স্থানীয়দের। পরিবারসহ গ্রামের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় নবজাতকটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন, বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুরে নবজাতকটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। নবজাতকটি হারিয়ে যাওয়ার খবরে তারা দিনব্যাপী ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেছিলেন। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুরে মেয়েটির মরদেহ ভেসে ওঠে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শ্যামলী নিজেই নবজাতকটিকে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন। এ সন্দেহ থেকে শ্যামলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর বাইরে এখন কিছু বলা যাবে না।