মোটরসাইকেল চালানোর সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন মো. রিদুওয়ান (২৫) নামে এক যুবক। সাথে ওই বাইকটিতে তার দুই বন্ধুও ছিলেন। লাইভ করা অবস্থায় দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনজন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রিদুয়ানের। ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় দুপুর ২টার দিকে বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত রিদুয়ান সাতকানিয়া উত্তর ঢেমশা মাইজপাড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার মো. মহিউদ্দিন (২৫) ও মুহাম্মদ বেলাল (২৪)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বাসকে ওভারটেক করে সামনে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে একটি মোটরসাইকেল। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সড়কের জায়গায় জায়গা পানি জমে আছে। পেছন থেকে কিছু ধাক্কা দেওয়ায় বাইকটি পড়ে যায়। ‘ওহ আল্লাহ’ বলে কেউ একজন আর্তনাদ করে উঠে। এ সময় আশপাশের লোকজন ও পথচারীরা দৌঁড়ে আসেন। কয়েকজনকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘দ্রুত মেডিকেলে নেন’।
স্থানীয়রা বলছেন, পেছন থেকে বাসের ধাক্কায় বাইকটি রাস্তায় পড়ে যায়। বাসটি মোটরসাইকেল চালককে পিষে চলে যায়।
নিহতের ভাই ইলিয়াস জানিয়েছেন, রিদুয়ান তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সাতকানিয়া থেকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় এক আত্মীয় বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বার আউলিয়া দরগাহ এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখি স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকামেট্রো-ব ১৫-৫২৮২) পেছন থেকে রিদুয়ানের বাইকে ধাক্কা দেয়।
লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ জানান, মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। আরোহী তিনজনের কারও মাথায়ই হেলমেট ছিল না। এর মধ্যে একজন ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। তিনি বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আহতদের হাসপাতালে পাঠাই। বাস ও মোটর সাইকেল হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করেছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত বাস ও মোটর সাইকেল জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। বাসচালক পালিয়ে গেছেন। মোটর সাইকেলটির চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।