প্রেমের ফাঁদ এটি আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। মোবাইল ফোনে প্রেম। তারপর কাছে আসার ফাঁদ।
সবশেষ এলাকায় ডেকে এনে মারধর ও মুক্তিপণ আদায়। সুন্দরী নারী দিয়ে মোবাইল ফোনে ফাঁদ পেতে পুরুষদের স্বর্বশান্ত করছে এই প্রতারক চক্রটি।
সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রতারক চক্রটি বেশ কয়েকজন যুবককে ডেকে এনে ওই নারীর সঙ্গে ভিডিও করে টাকা পয়সা ছিনতাইসহ আটকে রেখে আদায় করেছে মোটা অংকের মুক্তিপণ। স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যম ও পুলিশের কাছ থেকে মিলেছে এমন তথ্য।
গতকাল রোববার (২৩ মে) বিকেলে গাংনী উপজেলার বামুন্দী থেকে এক নারীসহ অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বহুল পরিচিত গাংনী উপজেলার বামুন্দী আখ সেন্টারপাড়ার এক নারীর সঙ্গে মেহেরপুরের এক ব্যক্তির মোবাইলে পরিচয় করিয়ে দেন প্রতারক চক্রের সদস্য মকলেছুর রহমান। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই নারী। প্রেমের অভিনয় করে তাকে বামুন্দী বাজারে দেখা করার জন্য রোববার সকালে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই নারীর সহযোগীরা তাকে কৌশলে আটক করে। বামুন্দী বাজারে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মারধর করে ও নারীর সঙ্গে তার ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি গোপন রাখা ও মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয় ওই ব্যক্তির কাছে। এক পর্যায়ে বিষয়টি নজরে আসে বামুন্দী ক্যাম্প পুলিশের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের সদস্য মকলেছুর রহমান, মফিজুল ইসলাম ও ওই নারী এবং তার ভাই মেগাকে আটক করেন। সেই সঙ্গে প্রেমের ফাঁদে পড়া ব্যক্তি মেহেরপুর শহরের বামনপাড়া এলাকার আশানুর রহমানকেও উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া নারীর নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সে আটক হওয়ার পর এই বিষয়টি সামনে আসে পুলিশের।
আটকদের থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার ফাঁদ এবং প্রতারক চক্রের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, ওই নারীর বিরুদ্ধে অনৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনেক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।