সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কিন্তু কাঁঠাল ফলের রাজা বলে সবার কাছে সমাদৃত। কাঁঠাল শুধুমাত্র একটি মৌসুমি ফলই নয়- সহায়ক খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বকীয় গুণাগুণের কারণেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাছগুলো এখন ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেয়ে আছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোথাও আবার পাকতে শুরু করেছে আগাম জাতের কাঁঠাল।

এখন জৈষ্ঠ্য বা মধুমাস। এই মধুমাসে আবহমান গ্রামবাংলার প্রতিটি জনপদ আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুতে ভরপুর থাকে। তাই বাংলার প্রিয় জাতীয় ফল কাঁঠালের মিষ্টি রসে চিড়া, মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। চারা লাগানোর পর সাধারণত এর কোনো যত্ন নেওয়া হয় না। শুধুমাত্র গুরু-ছাগলের আক্রমণ ও ঝড়ে যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য বড়জোর একটা খুঁটি ও খাঁচা ব্যবহার করা হয়। চারা আপনা থেকেই বেড়ে ওঠে। এক কথায় অনাদর আর অবহেলায় বন-বাদারে বেড়ে ওঠে ফলের রাজা কাঁঠাল গাছ। কোনো কোনো পরিবার ফল মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় জোগায়। ২ থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম।

শাহজাদপুর উপজেলার চরকাদাই পূর্বপাড়ার হাজী জুয়েল জানান, তার বাড়িতে ১০টির বেশি বিভিন্ন জাতের কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতি বছর এ মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি। তার প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত কাঁঠাল ধরেছে।

উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, কাঁঠাল মূলত একটি মৌসুমি সুস্বাদু ফল। এর বিচি তরকারিতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এই উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।