ভারতীয় সীমান্তে পুঁতে রাখা হয়েছিল ইয়াসিনের লাশ

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল ফেনীর পরশুরামে নিখোঁজের ২৭ দিন পরে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পুঁতে রাখা ইয়াসিনের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ মে) বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত পিলার নং-২১৫-১২-এস এর বাংলাদেশের ৫০ গজ অভ্যন্তরে মাটি চাপা দেওয়া লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার (১০ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির বিস্তারিত জানিয়েছেন ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে ইয়াসিন নিখোঁজ হলে পরশুরাম থানায় সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তার বড় ভাই হারুন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও রহস্যের কূলকিনারা না পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের এক পর্যায়ে পরশুরামের মধ্যম রাঙামাটিয়া এলাকার আসামি মো. সেলিম, আবুল কালামকে গত ৮ মে তারিখ রাতে আটক করে। আটকের পর তাকে নিখোঁজ ইয়াছিন সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের মধ্যে কষ্টি পাথর ও রাজ মিস্ত্রির কাজের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ ছিল। সে কারণে আসামি তার পরিচিত মোশারফ ও কুসুমের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে এবং ইয়াছিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে গত ১৩ এপ্রিল বিকাল তাকে সুকৌশলে ফেনী শহরের বনানী পাড়ার একটি বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশটি বস্তাবন্দি করে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত পিলার নং-২১৫-১২-এস এর ৫০ গজ অভ্যন্তরে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতার সেলিমের দেখানো মতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পিবিআই, সিআইডি, বিজিবি এবং পরশুরামের এসিল্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে রোববার (৮ মে) ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উঠানো হয়। পরশুরাম থানা পুলিশ ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ভিকটিমের বড় ভাই হারুন প্রকাশ নান্টুর এজাহার অনুযায়ী গ্রেফতার সেলিমসহ এমাম হোসেন, মোশারফ হোসেন, কুসুম, শাহানাজ ও সিএনজি চালক জামাল উদ্দিনসহ সর্বমোট ছয়জনকে আসামি করে পরশুরাম মডেল থানার মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Scroll to Top